দেশ

জাহাঙ্গিরপুরীর বেআইনি উচ্ছেদ নিয়ে পুরসভাকে নোটিস সুপ্রিমকোর্টের, ২ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ বহাল, প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল

জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছ্বেদ অভিযান নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে ছিল। জাহাঙ্গিরপুরীর উচ্ছেদ মামলায় বড় ধাক্কা উত্তর দিল্লি পুরসভার।বুধবার বুলডোজার দিয়ে একাধিক বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান ভেঙে ফেলে এমসিডি। জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় এমসিডির সাতটি বুলডোজার প্রায় দুই ঘণ্টা চলে। এ সময় ১২টি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে বাড়ি উচ্ছেদের কাজ বন্ধ হয়নি।বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।গুরুতর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় পুরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছে। ২ সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। আদালতের স্থগিতাদেশের পরেও কিভাবে কাজ হল তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার দাঙ্গাবিধ্বস্ত জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযানের উপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখার নির্দেশের পরেই একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কাজ স্থগিত রাখতে হয়। যদিও বিষয়টি ঘিরে উত্তাল দেশের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গিরপুরিতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে তৃণমূল এবং কংগ্রেস। এর পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে AISA, NSUI-এর মত সংগঠনগুলি। যদি পুর কমিশনারের দাবি, পুরসভা কোনও নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করেনি৷ যা করেছে পুর আইন মেনেই করেছে৷ তিনি বলেন, ‘দিল্লি পুর আইনের ৩২১, ৩২৩ এবং ৩২৫ ধারায় বলা আছে, অস্থায়ীভাবে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি বা রাস্তা থেকে উচ্ছেদকারীদের সরাতে কোনও আগাম নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন নেই৷’ একইসঙ্গে উত্তর দিল্লি পুরসভার দাবি, সরকারি জমির উপর তৈরি বাড়ি ভেঙে ফেলা এবং দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া- এই দুটোর মধ্যে ফারাক আছে৷ বাড়ির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলতে আগাম নোটিস দেওয়া হয়৷ তবে এ দিনের উচ্ছেদ অভিযানে জাহাঙ্গিরপুরীতে একটি বাড়িও ভেঙে ফেলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুর কর্তারা৷ তাঁরা বলেন, ‘মসজিদের পাশে নদর্মার উপর কিছু বেআইনি নির্মাণ ছিল৷ সেই নর্দমা তৈরি সরকারি জমির উপর৷ তাই সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়৷’