দেশ

দিল্লিতে মুখোমুখি মোদি-মমতা, আঞ্চলিক ভাষা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

 শনিবার দিল্লিতে বিচারপতিদের সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে তাঁদের। উঠে এসেছে ভাষার প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যে আঞ্চলিক ভাষাগুলিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন, তাতে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য তিনি মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া আরও একাধিক বিষয়ে উভয়ের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে কী কী বিষয় নিয়ে তাঁদের কথাবার্তা হয়েছে? তা গণমাধ্যমের কাছে তাঁরা কেউই ব্যক্ত করেননি। তবে মোদি-মমতার এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহল।  সকাল সকালই দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পৌঁছে যান বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এই সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করে একান্তে বৈঠক সারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে ৭২ জন বিচারকের কাজ করার অপশন থাকলেও মাত্র উনচল্লিশ জনকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা ছ’মাস আগে ১৩ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলাম। মাত্র একজনের অনুমতি পেয়েছি।” এদিনের সম্মেলনে বেঞ্চের পক্ষ থেকে বিচারকদের স্থান সংকুলান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ইতিমধ্যে আমাদের দুটো হাই কোর্ট আছে। কলকাতা হাই কোর্ট এবং জলপাইগুড়ি হাই কোর্ট। নিউটাউনে ইতিমধ্যেই ১০ একর জমি হাই কোর্টের নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য দিতে পারবে রাজ্য সরকার।  এর থেকে বেশি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। পুরনো বিল্ডিংটি বন্ধ করা হবে না, সেটিও কাজ করবে। কারণ, এটি হেরিটেজ বিল্ডিং। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে হাই কোর্টের কাজ করা শুরু করেছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের লোকজন যথেষ্ট সুবিধা পাবেন।”