উপনির্বাচনের ফল বেরানোর পর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে দেখা গিয়েছে ভাঙন। জেলায় জেলায় বিজেপি নেতারা সরব জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। চলছে বিক্ষোভ। তার মধ্যে নতুন- পুরানো, দিলীপ- সুকান্ত দ্বন্দ্ব বা অর্জুনের গলায় পাট শিল্প নিয়ে মমতা সুর। তার ওপর অভিযোগ, নাড্ডা সফরে বিজেপির অন্দরেই চলছে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ। সব মিলিয়ে বিজেপি শিবিরে রাহুর দশা। রাজ্যের একাধিক জেলায় নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন জেলা সভাপতিদের বিরুদ্ধে। এবার কি তার পাল্টা দিতে চাইছেন জেলা সভাপতিরা। উত্তর ২৪ পরগণাতেও চিত্রটা একই। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে পদত্যাগ করেছিলেন ৫ বিজেপি নেতা। তবে এর পাল্টা দিলেন ওই সাংগঠনিক জেলা বারাসতের জেলা সভাপতি! শোকজ নোটিশ পাঠালেন ৫ বিদ্রোহী নেতাকে। জবাব তলব করেছেন ৭ দিনের মধ্যে। আবার পাল্টার জবাবে পাল্টা দিয়েছেন ওই বিদ্রোহী শিবিরেরই এক নেতা। বলেছেন, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে টানা লড়াই চলবে। রীতিমত লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ ছিল, জেলা সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ তোলেন দলের নেতারাই। অভিযোগ, তিনি আক্রোশের বশবর্তী। আরও অভিযোগ, তাপস স্বজনপোষণ করেন। অযোগ্য ব্যক্তিদের ইচ্ছেমত পদ দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সরব তাঁর দলেরই নেতারা। এই সব অভিযোগ তুলেই পদত্যাগ করেছিলেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন বিজেপি নেতা। ঘটনা রবিবারের। মাঝে কেটেছে একটা দিন, সোমবার। তারপরেই শোকজ নোটিশ পাঠালেন জেলা সভাপতি। তবে এখনও পর্যন্ত শোকজ করা হয়েছে ৫ নেতাকে।