‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ঘটনায় কিছুদিন আগেই জেলে যেতে হয়েছিল অল্লু অর্জুনকে। জামিন পেলেও অভিনেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে তেলেঙ্গানার পুলিস। এরই মাঝে ফের বিতর্কে অভিনেতার নাম। শনিবার তেলঙ্গানা বিধানসভায় বিধায়ক আকবরউদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন যে পুষ্পা 2′-এর প্রিমিয়ার চলাকালীন পদদলিত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর পর একজন অভিনেতা বলেছেন যে “সিনেমাটা এবার হিট হবে”। নাম না করে অল্লুকেই যে তিনি নিশানা করেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিধানসভায় আকবরউদ্দিন বলেন, ‘‘আমি সেই বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকার নাম নিতে চাই না কারণ আমি তাকে সেই গুরুত্ব দিতে চাই না। কিন্তু স্যার, আমার তথ্য অনুযায়ী, সেই ফিল্মস্টার সিনেমা দেখতে একটি থিয়েটারে গিয়েছিলেন। তিনি বসে ছিলেন, সেখানে শোরগোল পড়েছিল, তারপরে পুলিশ এসে বলেছিল যে পদপিষ্ট হয়েছে, দুটি শিশু পড়ে গেছে এবং একজন মহিলা মারা গেছে। চলচ্চিত্র তারকা হেসে বলেছিলেন যে ছবিটি এখন হিট হতে চলেছে। পদপিষ্টের ঘটনার পরেও ওই অভিনেতা সিনেমা দেখেন এবং যাওয়ার সময় গাড়ির মধ্যে থেকে ভিড়ের উদ্দেশে হাত নেড়েছিলেন। ’’ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভান্ত রেড্ডি শনিবার দাবি করেন, যে পুলিস অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও সেদিন থিয়েটারে গিয়েছিলেন অল্লু অর্জুন। তিনি আরও দাবি করেন যে পদদলিত হয়ে মহিলার মৃত্যুর পরেও, অভিনেতা সিনেমা হল ছেড়ে যাননি, পুলিস তাকে জোর করে বের করে দেয়। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘থিয়েটার ম্যানেজমেন্ট ২ ডিসেম্বর পুলিসকে একটি চিঠি দিয়েছিল যাতে ৪ ডিসেম্বর অল্লু অর্জুন এবং অন্যান্যদের থিয়েটারে আসার জন্য নিরাপত্তা চেয়েছিল। তবে, ভিড় ব্যবস্থাপনায় অসুবিধার কথা উল্লেখ করে পুলিস আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে। থিয়েটারে প্রবেশের আগে এবং প্রস্থান করার সময়, অভিনেতা তাঁর গাড়ির সানরুফ দিয়ে মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে একঝলক দেখতে হুড়োহুড়ি পরে যায়। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা অল্লু অর্জুনের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে সারিবদ্ধ হয়েছিলেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজনও মারা যাওয়া মহিলা বা তাঁর ছেলে প্রায় ২০ দিন ধরে কোমায় থাকা সম্পর্কে খোঁজ নিতে যাননি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড়দের সম্পর্কে আমাদের কী ভাবা উচিত? তাঁরা সরকার এবং আমার সমালোচনা করার জন্য প্রস্তুত কিন্তু তাদের একজনও পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি”। মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে যখন পদদলিত হয়ে মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে তখন কোনও বিশেষ সুবিধা থাকবে না এবং যে যারা সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয় সরকার তাদের ছাড় দেবে না।
