কলকাতা

দুর্গাপুজোর ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতিলাভ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মতোই আমন্ত্রণ পেল না শিল্পী-কমিটিগুলি

কলকাতার দুর্গাপুজোকে বিমূর্ত সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো । বিশ্বমানের এই সম্মান পেয়ে আপ্লুত পুজো কমিটির কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিল্পী ও কলকাতাবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দুর্গাপুজোর ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতিলাভ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তবে সেখানে আমন্ত্রণ পাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু তিনিই নন, কলকাতার মহানাগরিক, শহরের দুর্গাপুজো কমিটির কর্মকর্তা, শিল্পী কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ৷ তাই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন শিল্পীরা৷ কলকাতার পুজো কমিটিগুলির যৌথ মঞ্চ ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক শাশ্বত বসু ক্ষোভের সুরে জানান, “কলকাতা পুজো কমিটিগুলির এবং শিল্পীদের লাগাতার চেষ্টায় কলকাতার দুর্গোৎসব ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে । আর তাকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে যাঁর নাম না নিলে অপরাধ হয়, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর জন্যই আজ ইউনেস্কোর এই সম্মান কলকাতার দুর্গাপুজো পেয়েছে । আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্য রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার । আমরা তো তাঁর অনেক পরে । তাই আমরা আজ প্রতিবাদ জানাব অভিনব কায়দায় ।” প্রখ্যাত শিল্পী সনাতন দিন্দার গলাতেও একই সুর শোনা গিয়েছে ৷ এই ঘটনায় নিন্দা করে তিনি বলেছেন, “পক্ষ-বিপক্ষ নয়, আজকে দুর্গাপুজো যে বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেয়েছে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান যথেষ্ট । যাঁরা একসময় বলেছে এই রাজ্যে দুর্গাপুজো হয় না, তাঁরাই আবার এই স্বীকৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান করছে ৷ আর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য । এটা মেনে নেওয়া যায় না ।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দশ বছর ধরে দুর্গাপুজোর প্রচার করেছি আমরা। রেড রোডে হয়েছে বর্ণাঢ্য কার্নিভাল। পুজো কমিটিগুলি যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছে, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি তারই ফল। আমরা চেষ্টা করতে করতেই এই সাফল্য পেয়েছি। এতে অন্য কারও অবদান নেই।’ বিজেপি নেতাদের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বাংলার নামে কুৎসা করার জন্য বলেন, এখানে নাকি দুর্গাপুজো ও সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হয় না। ওঁরা আসলে কিছুই জানেন না। শুধু পলিটিক্স করেন।’