কলকাতা

বাম আমলে চুরি যাওয়া রবি ঠাকুরের নোবেল এখনও উদ্ধার হয়নি, আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

https://youtu.be/4CmEX4NQyQo

 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মদিবসে উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রসদনে আয়োজন করা হয়েছিল ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে তাঁর আক্ষেপ, খোয়া যাওয়া নোবেল পুরস্কার আজও উদ্ধার হল না! আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাম আমলে খোয়া গিয়েছিল নোবেল পুরস্কার। এই কেস সম্ভবত সিবিআই বন্ধ করেছে। নোবেল প্রাইজ চুরি যাওয়া জাতির অসম্মান বলেও দাবি করেন তিনি।  বলেন, এই অপমান সহ্য করা যায় না। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নোবেল প্রাইজ চুরি যাওয়া মানেই রবি ঠাকুরকে হারিয়ে ফেলা নয়। তিনি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নোবেল প্রাইজ চুরি গিয়েছে ঠিকই, তবে আপামর মানুষের হৃদয়ে রবি ঠাকুর নোবেল প্রাইজ গেঁথে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রাণ- গান- সংস্কৃতি- সভ্যতার টানে অতিমারির ভয়াবহ ২ বছর কাটিয়ে সকলে মিলিত হয়ে আবার এই ভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এই টানেই পরবর্তী সময়েও সকলে আবার একত্রিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে বলেন, বাংলার সাহিত্য- সংস্কৃতি- সভ্যতা বিশ্বের দরবারে কড়া নাড়বেই। এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়ার কথাও।  ততরুণ প্রজন্মের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বিভিন্ন দেশের একাধিক ভাষা শিখুক সবাই কিন্তু কেউ যেন না ভুলে যায় বাংলার শেকড়। দৃঢ়

প্রতিজ্ঞ হতে বলেন, মিলনের রাজ্যে বিভেদকামী শক্তি রুখে দেওয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে বলে। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, রবি ঠাকুর সাগরের মত। তাঁর গভীরতা- পরিধি মাপা যায় না।  তিনি বিশ্বকে আলোকিত করেছেন। শুষ্ক ম্রুভূমিতে উৎসারিত আলোর ঝর্ণা এনে দিয়েছেন। তিনি না থাকলে বাংলায় নবজাগরণ সম্পূর্ণ হত না। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বিশ্বকবি আপামর বাঙালির হৃদয়ে মুক্তার মালার মত রেয়েছেন সর্বদা। সকাল থেকে রাত সবসময় বাঙালির জীবনে জড়িয়ে রয়েছেন রবি ঠাকুর। নতুন প্রজন্মের প্রতি মমতা বার্তা, রবি ঠাকুরকে পাথেয় করে চলার। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চাকরি দেওয়া হয় খেলোয়াড় মনোতোষ চাকলাদার এবং দিলীপ ওঁরাওকে। মুখ্যমন্ত্রী কোটায় চাকরি পেয়েছেন ২ কৃতী খেলোয়াড়। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ও কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি সুবোধ সরকার, কবি প্রসূন ভৌমিক, কবি শ্রীজাত প্রমুখ। বাংলা আকাদেমির পক্ষ থেকে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।