কলকাতা

‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড না নিলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এখনও অনেক অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের বহু হাসপাতাল এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না বলে অভিযোগ সামনে আসে। এবার তা নিয়ে আরও কড়া হতে চলেছে নবান্ন। আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলার স্বাস্থ্য কর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীদের চিকি‍ৎসা করাতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বুধবার এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যাতে রাজ্য সরকারের টাকা রাজ্যেই থাকে, তার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীদের চিকি‍ৎসা দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগী হওয়ার জন্যও বেসকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথায়, ‘অন্য রাজ্যের চেয়ে রাজ্যের চিকি‍ৎসা ব্যবস্থা যথেষ্টই ভাল। তাই রাজ্যের মানুষ রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতেই চিকি‍ৎসা নিন।’ এদিন নবান্নে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ-এমএসভিপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কাঠামোর আরও কী করে উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ৮০০ নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষেধের দাম বাড়ালেও যাতে হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহে বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকি‍ৎসক-নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বার বার সতর্ক করা সত্বেও একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীদের চিকি‍ৎসা না করিয়ে ফেরত দিচ্ছে। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীদের চিকি‍ৎসা না দিয়ে ফেরালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরীক্ষা করা হবে।’ ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়েও এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ছয় মাসে আগে এক দফায় ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ফের ৮০০ ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। মানুষ যাবে কোথায়?’