দেশ

‘সত্যি কথা বলা স্বদেশপ্রেম, দেশদ্রোহিতা নয়’, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত রাখার ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত রাহুলের

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় ১৫২ বছরের প্রাচীন এবং ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগ স্থগিত রাখার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট ৷ বুধবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ শাসনধীন ভারতে তৈরি হওয়া এই আইনে নতুন করে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না ৷ কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা পুনর্বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে ৷ জুলাই মাসে পরবর্তী শুনানি ৷ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ তিনি টুইট করে লিখেছেন, “সত্যি কথা বলাটা স্বদেশপ্রেম, দেশদ্রোহিতা নয় ৷ সত্য বলা মানে দেশকে ভালবাসা, দেশের বিরোধিতা করা নয় ৷ সত্য শোনা ‘রাজধর্ম’ ৷ সত্যকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করাটা ঔদ্ধত্য ৷ ভয় পাবেন না ৷” এরপর তাঁকে আক্রমণ করে বিজেপি সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু পাল্টা টুইট করে জানান, রাহুলের কথাগুলি আসলে ফাঁকা আওয়াজ ৷ তিনি কংগ্রেসকে ‘স্বাধীনতা-বিরোধী’ বলে বিঁধে লেখেন, “দেশে যদি এমন কোনও দল থাকে যা স্বাধীনতার বিপক্ষে, যার কাছে প্রতিষ্ঠানের প্রতি গণতন্ত্র এবং শ্রদ্ধা নেই, তাহলে সেই দলটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৷” দেশভাগের কথা উল্লেখ না করেও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লেখেন, “এই দল সবসময় দেশের শক্তিকে ভেঙেচুরে দিয়েছে ৷ ভারতকে ভাগ করার কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেনি ৷” স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধি এবং অন্য বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে অন্যতম অস্ত্র ছিল এই আইন ৷ ব্রিটিশরা দেশ ছাড়লেও সেই আইনে এখনও এফআইআর দায়ের করা হয় এবং অনেকেই বন্দি হয়ে রয়েছেন ৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নতুন করে আর একজনকেও 124এ-র আওতায় অভিযুক্ত করা যাবে না ৷ গতকাল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে ৷