১০০ দিনের কাজে পুকুর খননের নামে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুলাবদিটোলা গ্রামে। যদিও বর্তমান প্রধানের দাবি, তাঁর সময় নয়। বেনিয়ম হয়েছে আগের প্রধানের আমলে। এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে মানিকচক বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান নুর ইসলাম নামে এক গ্রামবাসী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন মানিকচক ব্লকের বিডিও জয় আমেদ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের খাতায় পুকুর খননের খরচ দেখানো হলেও আদতে কিছুই হয়নি। সেই টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেছে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা। জুলাবদিটোলা গ্রামের বাসিন্দা নুর ইসলাম ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগকারী নুর ইসলাম জানান, তাঁদের জমিতে পুকুর কাটা হবে বলে জানানো হয়েছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েতেরই তা করার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে কোনও পুকুর কাটা হয়নি। বরং পুকুর কাটার নাম করে প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রধান ও পঞ্চায়েতের কর্মীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে শাসকদল। যদিও বর্তমান রুখসানা পারভিন সব অভিযোগ আগের বোর্ডের প্রধানের উপরই চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েতের নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন তৃণমূলের বিউটি খাতুন। তিনিই এই বেনিয়ম করতে পারেন।