জেলা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চালু হল মিতালি এক্সপ্রেস

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান । অবশেষে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বুধবার চালু হল ভারত বাংলাদেশ মিতালি এক্সপ্রেস। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল শহরবাসী । মিতালি এক্সপ্রেস পরিষেবা উদ্বোধনকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন জুড়ে । নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলবে এই ট্রেনটি । বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে মিতালি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ঘিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ওই ট্রেনের শুভ সূচনা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন । পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনসুল গুপ্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । মিতালি এক্সপ্রেস ভারত বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী তৃতীয় ট্রেন

এবং উত্তরবঙ্গের প্রথম ট্রেন । রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির এসি কেবিন বার্থের ভাড়া মাথাপিছু ৪ হাজার ৯০৫ টাকা, এসি কেবিন চেয়ারকারের ভাড়া ৩ হাজার ৮০৫ টাকা, এসি চেয়ারকারের ভাড়া ২ হাজার ৭০৭ টাকা । নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা রেল স্টেশনের দূরত্ব কিলোমিটার । যার মধ্যে ৬৯ কিলোমিটার ভারতের অধীনে । বাকি বাংলাদেশের অধীনে রয়েছে । ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ভারতীয় সময় সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে বাংলাদেশের সময়ে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকাতে পৌঁছবে । মাঝে ভারতের দিকে সীমান্তর শেষ স্টেশন হলদিবাড়ি । বাংলাদেশের দিকে শেষ সীমান্ত স্টেশন চিলাহাটি । ওই দুটি স্টেশনে ১০মিনিট করে দাঁড়াবে লোকো পাইলট বদলানোর জন্য । এছাড়া এই ট্রেনের আর কোনও স্টপেজ নেই । এই মিতালি এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে রবিবার ও বুধবার এবং বাংলাদেশের ঢাকা থেকে ছাড়বে সোমবার ও বৃহস্পতিবার । ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য পাসপোর্ট ভিসা আবশ্যক । নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনেই কাস্টমসের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে । সেখানেই যাত্রীদের যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখা হবে ।