আলিপুরদুয়ারের মাটি থেকেই নাম না করে কামতাপুর লিবারেশন অর্গেনাইজেশন(KLO) বা কেএলও নেতা জীবন সিংহ সহ বিজেপিকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসার আগেই যেমন জীবন হুমকি দিয়েছিল, তেমনি থেকে থেকেই বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কেরা বাংলাকে ভাগ করার দাবি তোলেন। সেই সব কিছু নিয়েই এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। বঙ্গভঙ্গ নিয়ে এ দিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘আমাকে কিছু নেতা হুমকি দিচ্ছেন। ওরা নাকি বাংলা ভাগ করে দেবেন। উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু ওরা জানে না আমি বন্দুক ভোঁতা করে দেব। রক্ত দিতে রাজি আছি, বাংলা ভাগ করতে দেব না। ভোট এলেই বিজেপি ভাগাভাগির কথা বলে। কিন্তু বাংলা ভাগ করতে দেব না। কোনওমতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু জেনে রাখুন আমি কোনওমতেই বাংলাকে ভাগ করতে দেব না।’ বাংলার বুকে বিজেপির নেতা থেকে মন্ত্রী, সাংসদ থেকে বিধায়ক, থেকে থেকেই রাজ্য ভাগের দাবি তোলেন। কেউ চান আলাদা গোর্খাল্যান্ড, কেউ চান আলাদা উত্তরবঙ্গ, কেউ চান কামতাপুর, কেউ বা আলাদা কোচ রাজ্য। আবার কেউ কেউ তো আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্যেরও দাবি জানিয়ে বসেন। সেই সব ছাড়িয়ে কেএলও নেতা জীবন সিংহ রীতিমত হুমকি দিয়ে বসেছিলেন মমতা যেন উত্তরবঙ্গে না আসেন। কিন্তু সেসব হুমকি ধমকিকে পাত্তা না দিয়ে মমতা মঙ্গলবার সভা করলেন আলিপুরদুয়ারে। আর সেই সভা থেকেই নাম না করেই জীবনকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা। পাশাপাশি বিজেপিকেও বাংলা ভাগ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন। বিজেপি ও কেএলও যতই হাতেহাত মিলিয়ে উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করুক না কেন, মমতা যে তা মানবেন না সেটা এদিন তিনি নিজের বার্তার মাধ্যমে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। আর এই সব হুমকি ধমকির সামনেও যে তিনি মাথা নোয়াবেন না সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিনের সভা থেকে নাম না করেই মমতা জীবন সিংহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কিছু নেতার কাজ নেই কর্ম নেই, আমাকে ভয় দেখাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ ভাগ না করলে আমাকে নাকি মেরে দেবে। আমি বলি, তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। এতবড় ক্ষমতা তোমাদের? আমি অনেক বন্দুক দেখে এসেছি। এসব বন্দুক টন্দুক আমায় দেখিও না। তোমাদের বন্দুক ভোঁতা করতে আমি জানি। বিজেপির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে। যখনই নির্বাচন আসে বিজেপি ভাগাভাগির কথা বলে। কিন্তু জেনে রেখো, আমি রক্ত দিতে তৈরি কিন্তু বাংলাকে ভাগ করতে দেব না।’