রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক নবান্নে। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা), হাওড়ার পুলিস সুপার সহ পদস্থ অফিসাররা। নবান্ন সূত্রের খবর, গত তিনদিন ধরে হাওড়ায় যে পরিস্থিতি চলছে, শনিবার বৈঠকে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পয়গম্বর বিতর্ক ঘিরে গত বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় অবরোধ, বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলছে হাওড়ায়। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তা সামাল দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। একধাপ এগিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা বা আধাসেনা নামানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকালে টুইটে লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়। কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ এদিনই হাওড়ায় যেতে গিয়ে বাধা পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে নিউটাউনের বাড়িতে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়। পরে জোর করেই তিনি বেরিয়ে পড়েন। সেখানে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। ওই অবস্থার মধ্যেই সুকান্তর কনভয় নিউটাউন ছাড়ে। হাওড়া যাওয়ার পথে এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে ফের সুকান্তকে আটকায় পুলিস। গাড়ি থেকে নেমে তিনি হাঁটা লাগান। বিদ্যাসাগর সেতুর মুখে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস লালবাজারে নিয়ে যায়। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন। এই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েই নবান্নে বৈঠকে বসেন পুলিস প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।