বিক্ষোভ-মিছিলে শিশুরা কেন? সোশাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি বিক্ষোভের ভিডিয়োতে বাচ্চাদের দেখে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন৷ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কমিশন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা জনাব মহম্মদ সানাউল্লা সিদ্দিকিকে নোটিস পাঠিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে৷ ধর্মীয় বা রাজনৈতিক মিছিলে শিশুদের ব্যবহার করা আইনত অপরাধ৷ অথচ শিশু অধিকার রক্ষা আইনকে পরোয়া না করে বড়দের সঙ্গে সমানতালে শিশুরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ তারপরই কয়েকটি জেলার পুলিস সুপারদের এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন৷ বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নূপুর শর্মার একটি ধর্মীয় মন্তব্যকে ঘিরে গত তিনদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়া৷ ক্রমে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের
অন্যান্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতে৷ ওই সমস্ত জায়গায় আন্দোলনরত প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কচিকাঁচাদেরও দেখা গিয়েছে৷ প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে তারা টায়ার জ্বালিয়েছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে৷ এমনকী পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরও ছুড়ছে ৷ সোশাল মিডিয়ার দৌলতে এরকম কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, বড়দের বিক্ষোভ-মিছিলে নাবালকরা কী করছে? তাদের তো বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা নয়৷ এই ধরনের মিটিং-মিছিলে শিশুদের টেনে এনে তাদের মনকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ তোলেন৷ রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে৷ তারপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন৷ হাওড়া গ্রামীণ, হাওড়া কমিশনারেট, হাওড়ার জেলাশাসক, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও বারসতের পুলিস সুপারকে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন৷