কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি কার্যত উত্তাল । শুক্রবার সকাল থেকেই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেন । তা থামাতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী । বিক্ষোভ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ । এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাতে মৃত্যু হয়েছে এক বিক্ষোভকারীর । গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে 8 জনকে। সকালেই লখিসরাই স্টেশনে বিক্রমশীলা এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন লাগানো হয়েছিল ৷ সকালে হাজিপুর-বরাউনি রেলওয়ে সেকশনের মহিউদ্দিননগর স্টেশনে সমস্তিপুরে জম্মু তাওয়াই-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় । সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসও ভাঙচুর করা হয় । বক্সারে রেলওয়ে ট্র্যাকে নেমে ডুমরাঁও রেলওয়ে স্টেশনের আপ এবং ডাউন উভয় লাইন অবরোধ করে । উত্তরপ্রদেশের বালিয়া রেলওয়ে স্টেশনেও ট্রেন ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । দোকানেও তাণ্ডব চালিয়ে তছনছ করে বিক্ষোভকারীরা । উন্মত্ত জনতাকে ঠেকাতে বালিয়া পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে ।বিক্ষোভের আঁচ রাজ্যে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গেও । উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার স্থল, জল এবং বায়ু মিলিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷ এতে সুযোগ পাওয়া জওয়ানরা ৪ বছর কাজ করতে পারবেন ৷ মেয়াদ শেষে মোট নিয়োগের ২৫ শতাংশকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ৷ বাকিদের চুক্তি শেষ হবে অর্থাৎ তাঁরা আর চাকরিতে বহাল থাকবেন না ৷ এর জন্য কোনও পেনশনও পাবেন না জওয়ানরা ৷ উলটে বেতন থেকে কিছু টাকাও কেটে নেওয়া হবে ৷ মেয়াদ শেষে ‘সেবা নিধি’ প্রকল্পের আওতায় নগদ টাকা তুলে দেওয়া হবে জওয়ানের হাতে ৷ সব মিলিয়ে এই চাকরি চুক্তিভিত্তিক এবং স্বল্পমেয়াদি ৷