দেশ

সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না হোটেল-রেস্তোরাঁ, গাইডলাইন জারি করল সিসিপিএ

হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয় খেতে ঢুকে খাবার কিংবা পানীয়ের বিলের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ বা পরিষেবা মূল্য হিসেবে বাড়তি টাকা গুনতে হয় খদ্দেরদের । এমনকী খাবার কিংবা পানীয় দিয়ে যাওয়া হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ কর্মীদের বকশিসও গুনতে হয়। দুই ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের পকেট থেকে বাড়তি টাকা বেরিয়ে যায়। সোমবার ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ । এক নির্দেশিকায় সিসিপিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ এখন থেকে ক্রেতাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না। যদি কোনও হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে পরিষেবা মূল্য বা সার্ভিস চার্জ আদায় করে, সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্ফলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন ক্রেতা বা ভুক্তভোগীরা। এদিন কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ‘হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁয় যাওয়া কোনও খদ্দের পরিষেবা দেওয়ার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ কর্মীদের যদি কোনও বকশিস দেন, সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কারও কাছ থেকে জোর করে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাড়তি টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে আদায় করা যাবে না। যদি কোনও হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁর বিল জেনারেশনের ক্ষেত্রে ওই সার্ভিস চার্জ ডিফল্ট হিসেবে থেকে থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে হঠাতে হবে। খাবার কিংবা পানীয়ের মূল্য কিংবা জিএসটির উপরে বাড়তি সার্ভিস চার্জ ধার্য করতে পারবে না।’ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আগেও এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি হলেও তা যে অনেক প্রতিষ্ঠান অমান্য করে ক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি সার্ভিস চার্জ আদায় করে চলেছে, তা যে সিসিপিএ’র নজরে রয়েছে, তাও গাইডলাইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘এর পরেও যদি কোনও হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ বিলের সঙ্গে বাড়তি সার্ভিস চার্জ যোগ করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ওই বাড়তি চার্জ বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাতে হবে। সেই অনুরোধে যদি সংশ্লিষ্ট হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করে, সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্ফলাইনে (১৯১৫) ফোন করে অভিযোগ নথিবদ্ধ করা যাবে। প্রয়োজনে মামলাও দায়ের করা যাবে ওই হোটেল কিংবা রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে।’