উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ক্রমেই বাড়ছে নাইরোবি ফ্লাইয়ের প্রকোপ। ধূপগুড়িতে অ্যাসিড পোকার আক্রমণে অসুস্থ হয় ২ জন। এই নিয়ে দু’দিনের মধ্যে ধূপগুড়ি শহরের পাঁচ জন পোকার কামড়ে আক্রান্ত। পোকার আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরবঙ্গবাসীদের মধ্যে। এর আগে বুধবার আলিপুরদুয়ারে নাইরোবি ফ্লাই পোকার কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। নাইরোবি ফ্লাইয়ের সংস্পর্শে এলে আক্রান্তের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঝলসে যায়৷ যদিও এই পোকা কামড়ায় না৷ পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নাইরোবি ফ্লাইয়ের দেহ থেকে পেরিডিন নামে এক ধরনের
রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়৷ যা চামড়া বা ত্বককে পুড়িয়ে ফেলে৷ শরীরে চাকা চাকা ফোস্কা হয়৷ সঙ্গে গাইয়ে হাত-পা ও মাথায় ব্যথা এবং জ্বর হয়৷ সুদূর কেনিয়ার নাইরোবিতে বিশেষত এদের দেখা যায়৷ তবে বাংলায় এরা অ্যাসিড পোকা নামে পরিচিত৷ এই পোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে আশেপাশে থাকা পার্থেনিয়াম গাছ বা জঙ্গল কেটে ফেলতে হয়৷ এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্তদের শরীরে একই রকম উপসর্গ দেখা গিয়েছে। পতঙ্গ বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিবৃষ্টির কারণেই ওই পোকাদের উৎপাত এতটা বেড়ে গিয়েছে৷ সন্ধ্যে নামার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।