কয়লাকাণ্ডে একসঙ্গে সাত প্রাক্তন ও বর্তমান ইসিএল কর্তাকে বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই আদালতে পেশ করা হল। আসানসোলের সিবিআই আদালতে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ এই ৭ প্রাক্তন ও বর্তমান ইসিএল কর্তাকে পেশ করা হয়। ধৃতদের সরাসরি কলকাতা থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এঁদের মধ্যে ইসিএলের বর্তমান একজন জেনারেল ম্যানেজার ও খনি ম্যানেজার-সহ ৩ জন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার এবং দুই নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছেন। বিচারক এই ৭ কর্তাকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ নিজাম প্যালেসে বুধবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় ইসিএলের প্রাক্তন জিএম সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, তন্ময় দাস এবং অভিজিৎ মল্লিককে। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র এবং খনি ম্যানেজার মুকেশ কুমারকেও। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং রিঙ্কু বেহেরাকে। এই সাত জনকেই আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়। সিবিআই আদালতে তোলার সময় ব্যাপক ভিড় এবং চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। একদিকে ইসিএলের লিজ হোল্ডিং জমিতে বেআইনিভাবে কয়লা খনন অন্যদিকে ইসিএলের খনি থেকেই পাচারকাণ্ডের তদন্তে এমনই বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে। সিবিআই জানতে পেরেছিল, ইসিএল আধিকারিকদের একাংশের মদতেই চলছিল কয়লা পাচার ৷ আধিকারিকদের যোগসাজশেই চুরি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি। এর আগে বেশ কয়েকজন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কিন্তু একসঙ্গে ৭ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান ইসিএল আধিকারিককে কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতারের ঘটনা চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে। যদিও ইসিএল আধিকারিকরা সিবিআই আদালতে ঢোকার সময় জানিয়েছেন ‘সবই মিথ্যে’। সিবিআই এই সাতজন প্রাক্তন এবং বর্তমানে ইসিএল আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এর ফলে আরও অনেক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসবে ৷ পাশাপাশি অনেক রাঘববোয়ালদের নামও বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ৪ অভিযুক্তের আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্য়ায় জানান, গত ১ বছর ধরে সিবিআই বারবার ইসিএল কর্তাদের ডেকে পাঠাচ্ছে ৷ প্রথম দিন থেকেই তাঁরা তদন্তে সাহায্য করে আসছেন ৷ পাশাপাশি সিবিআই এঁদের বাড়িতে হানা দিয়ে অনেক তথ্য বাজেয়াপ্তও করেছে ৷ তবু এখনও পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি ৷