জেলা

পুনর্জন্ম চিকিৎসকদের হাতে, স্বাধীনতা দিবসে খুশির হওয়া ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে

ঝাড়গ্রাম : সাত বছরের ঝালা হাঁসদা। চোখের পাতা আসতে আসতে নেতিয়ে পড়ল। যেন মৃত্যু পথযাত্রী!কি হয়েছে বলতে পারছেন না ঝালার পরিবার। চিকিৎসকরা কি চিকিৎসা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের সুপার মলয় আদকের নির্দেশে শিশুটিকে শেষমেষ ভর্তি করা হল সিসিইউতে। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন হাসপাতালের দুই শিশু চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ দাশ ও সুদীপ্ত ঢাক। চিকিৎসকরা বলেন, শিশুটির চোখের পাতা পড়ে গিয়েছিল। একদমই মরনাপন্ন ছিল। সারা শরীর পর্যবেক্ষণ করার পর দেখা যায় বাম কানে দাগ দেখতে পাওয়া যায়। যা কেউটে বা কোবরা জাতীয় বিষধর সাপের দাঁতের দাগ। শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হলেও পরিবার তেমন কিছুই না বলায় চিকিৎসা করা যাচ্ছিল না প্রথমে। বাচ্চাটি এখন একেবারে সুস্থ রয়েছে। ওই শিশুটির বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানার শিবানন্দপুর গ্রামে।

ছবি: উপরের সুস্থ শিশু ঝালা হাঁসদা। নীচে বাম দিক থেকে চিকিৎসক সুদীপ্ত ঢাক ও রবীন্দ্রনাথ দাশ।