কয়লাকাণ্ডে যখন কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই ও ইডি, ঠিক তখন এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এই যুবনেতা । এদিন তিনি বলেন, ‘‘কয়লা খনিগুলির নিরাপত্তা দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের কেন ডাকছে না সিবিআই । উল্টে তৃণমূল নেতাদের ডাকা হচ্ছে । ইডি-সিবিআইকে তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন সুদীপ্ত সেন বলছেন আমি শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছি, তখন ইডি-সিবিআই তা দেখতে পায় না ! গ্রেফতার করা না হয় ছেড়েই দিন । একবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করে না ।’’ অভিষেকের প্রশ্ন, ‘‘মলয় ঘটক বা বাঘমুণ্ডির এমএলএকে ডাকছেন কেন ? কয়লা যদি চুরি গিয়েই থাকে, তাহলে তার দায়িত্ব কার ! ইসিএল কর্তাদের অথবা কোলিয়ারি যাঁরা গার্ড দেন, সেই সব সিআইএসএফ অফিসারদের । আপনার বাড়ি থেকে আসবার পত্র চুরি গেলে আপনি আগে দারোয়ানকে ধরবেন, না পাশের বাড়ির লোককে ধরবেন । যিনি গার্ড করছেন তাঁকে না ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন ?’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনারা যত তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগাবেন, আমাদের আন্দোলনের ভাষা তত দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে । তত মানুষের জনসমর্থন বাড়বে । তত আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হব ।’’ অভিষেকের কথায়, ‘‘এটা নতুন কি ! সিবিআই এবং ইডিকে দিয়ে ভয় দেখানো প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে । আমাদের ডেকেছে আমরা গিয়েছি । সিবিআই বা ইডির যদি সত্যিকারের নিরপেক্ষতা থাকত, তাহলে বিজেপি নেতাদেরও তারা ডাকত । সুদীপ্ত সেন নিজে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, আমি ফেরার হওয়ার আগেই কোটি কোটি টাকা শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে গিয়েছি । সেখানে আরও কয়েকজনের নাম আছে । আমি কাউকে আড়াল করতে চাইছি না, আপনি সবাইকে ডাকুন । শুধু তৃণমূলকে কেন ডাকা হচ্ছে ! কারণ, তৃণমূল বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করছে না ।’’