সারদা কাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ শুক্রবার তার পালটা জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এবং তাঁর পিসি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে উদ্দেশ করে তিনি বললেন, কাচের ঘরে বসে পিসি-ভাইপো যেন ঢিল না ছোড়েন ৷ তাহলে তাঁরা দু’জনই বিপদে পড়বেন ৷ শুভেন্দুর দাবি, যাঁরা আজ তাঁকে অভিযুক্ত করছেন, তাঁদের নামেই চার্জশিট লেখা হয়ে আছে ! ছবি কেনার চার্জশিট, সংবাদপত্র এবং খবরের চ্যানেলের চার্জশিট ৷ এখন শুধুমাত্র চার্জশিট জমা দেওয়ার অপেক্ষা ! বিরোধী দলনেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সুদীপ্ত সেনের লেখা’ যে চিঠি নিয়ে নানা মহলে চর্চা হচ্ছে, তা আদতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নির্দেশেই লেখা হয়েছিল ৷ তৃণমূলের এক মুখপাত্র এবং একজন আইপিএস আধিকারিক নাকি এই চিঠি লিখিয়েছিলেন ৷ তারপর শুভেন্দুও সিবিআই-কে চিঠি পাঠান ৷ তাঁর দাবি, তাঁর পাঠানো সেই চিঠির উপর ভিত্তি করে সিবিআই পুরো তদন্ত করুক ৷ তাহলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে চক্রান্তকারী কারা ৷ গত অভিষেক বলেন, “ইডি ও সিবিআই-কে তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে ৷ যখন (ধৃত সারদা কর্তা) সুদীপ্ত সেন বলছেন, আমি শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছি ৷ তখন ইডি বা সিবিআই তা দেখতে পায় না ! অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কথা না হয় ছেড়েই দিলাম ৷ তাঁকে ডেকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করে না ৷” অভিষেকের তিরের জবাবে পালটা তোপ দেগেছেন শুভেন্দু ৷ শুক্রবার এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠায় তিনি বলেন, “হেফাজতে থাকা কোনও ব্যক্তিরই (এক্ষেত্রে সুদীপ্ত সেন) অভিযোগের কোনও মূল্য নেই ৷ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় রয়েছে ৷ 19 ডিসেম্বর আমি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলাম ৷ তার আগে একটি চিঠি (যে চিঠি সুদীপ্ত সেনের লেখা বলে দাবি করা হয় ৷ যেখানে তিনি তাঁর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়কারীদের প্রভাবশালীদের নাম লিখেছিলেন বলেও শোনা যায় ৷) প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই চিঠিতে আমার নাম ছিল, বিমান বসুর নাম ছিল ৷ অধীররঞ্জন চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী এবং মুকুল রায়ের নাম ছিল ৷ সেই চিঠির পর 2020 সালের 9 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী নিজেই সরাসরি সিবিআই-কে চিঠি দিয়েছিল ৷ আমার দম আছে ৷ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো লোক ৷”