ছাত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত তদন্তের দাবিতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি ৷ স্কুলে ভাঙচুরের পাশাপাশি স্কুলবাসে আগুনও ধরিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত দু’বার শূন্যে গুলি চালিয়েছে পুলিশ ৷ দিনকয়েক আগে স্কুলের হস্টেল চত্বর থেকে বছর সতেরোর ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় ৷ অনুমান তিনতলায় নিজের ঘরের জানলা থেকে নীচে পড়ে গিয়েই তার মৃত্যু হয়েছে ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় ৷ ছাত্রীর পরিবারের দাবি ঠিক কী কারণে ছাত্রীর প্রাণ গেল তা জানতে প্রকৃত তদন্ত প্রয়োজন ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ এনেছে পরিবার ৷ ন্যায়বিচারের দাবিতে টানা ৪দিন পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ৷ কিন্তু রবিবার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ স্কুল এবং পুলিশের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা ৷ পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত দু’বার শূন্যে গুলি চালাতে হয় পুলিশ কর্মীদের ৷ শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ৷ পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর আশ্বাস ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করা হবে ৷ তাতে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হবে ৷ পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করে স্কুল চত্বরে ব্য়ারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু উত্তেজিত জনতা সেই ব্য়ারিকেড ভেঙে দেয় ৷ পাশাপাশি পুলিশের বাসেও ভাঙচুর চলে ৷ পরে তাতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ কয়েকজন বিক্ষোভকারী স্কুলের ছাদে উঠে গিয়ে ভাঙচুর চালায় বলে খবর ৷ পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে আশপাশের জেলা থেকেও পুলিশ কর্মীদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় ৷ ছাদ ছাড়াও স্কুলের অন্য অংশে ভাঙচুর চলেছে ৷ আলমারি থেকে শুরু করে অন্য কয়েকটি আসবাব উধাও হয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন একটি বামপন্থী যুব সংগনের সদস্যরাও এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হবে ৷ দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না ৷