শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমসিংহে। সে দেশের নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রনিল বিক্রমসিংহে পেয়েছেন ১৩৪টি ভোট। ডুলাস আলাহাপেরুমার প্রাপ্ত ভোট ৮২। আর অনুরা কুমার পেয়েছেন মাত্র তিনটি ভোট। মূলত সাংসদদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রনিল। দেশবাসী চাইছে এখন সাধারণ নির্বাচন। বুধবার দ্বীপরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অভূতপূর্ব। ভোট হয় গোপন ব্যালটে। প্রেসিডেন্ট পদে গোতাবায়া ইস্তফা দেওয়ার পর রনিল বিক্রমসিংহকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে দেশশাসনের ভার তুলে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মহলে একটা ধারণা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পাল্লা ভারী রনিলের। যদিও দেশবাসীর একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন। ভোটের দিন তো বটেই, ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বেশ কয়েকটি পোস্ট, যেখানে পই পই করে রনিল বিক্রম সিংহকে ভোট না দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রনিলকে ভোট দিলে মৃত্যু নিশ্চিত। ভোটের বাক্সে দেখা গেল উল্টো ফল। সেই হুমকি বার্তা অস্বীকার করে সখ্যাগরিষ্ঠই রনিল বিক্রমসিংহকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এবার শুরু হবে সরকার গঠন প্রক্রিয়া। প্রেসিডেন্ট পদে গোতাবায়ার ইস্তফাকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় তৈরি হয় অস্থিরতা। জনতার দাবি ছিল, গোতাবায়াকে ইস্তফা দিতে হবে গোতাবায়া প্রথম দিকে ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন। স্পিকারের হুমকি বার্তায় ধাক্কায় প্রেসিডেন্টে পদে সরে দাঁড়ান গোতাবায়া।