দেশ

লিভ-ইনে থাকা ২৪ সপ্তাহের সেই অবিবাহিত  অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিমকোর্ট

লিভ-ইন সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া অবিবাহিত মহিলারা ২৪ সপ্তাহ হলেও গর্ভপাত করাতে পারেন। দিল্লি হাইকোর্টের রায় খারিজ করে অবিবাহিত অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর আর্জির প্রেক্ষিতে এমনই যুগান্তকারী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৫ জুলাই গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সি ওই যুবতী। সেই আর্জি নাকচ করে আদালত জানিয়েছিল, এই কাজ ভ্রুণ হত্যারই শামিল। এরপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনার এজলাসে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রবল মানসিক অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মক্কেল। সবকিছু শোনার পর যুবতীর পক্ষেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টকেও ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতির এজলাস। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, একজন মহিলা কেবলমাত্র অবিবাহিত বলে গর্ভপাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারবেন না। ভারতীয় দণ্ডবিধির মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি অ্যাক্ট ১৯৭১ সালের আইনকে মান্যতা দিয়ে গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত এই বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, দেশের আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ এবং অন্যান্য বিশেষ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভপাতের উর্ধ্বসীমা ২৪ সপ্তাহ। তবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে লিভ-ইন সম্পর্ক থাকার সময় অবিবাহিত মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাতের ঊর্ধ্বসীমা ২০ সপ্তাহ। উল্লেখ্য, এক ২৫ বছরের তরুণীর মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। তিনি সহবাসের সম্পর্কে ছিলেন একজনের সঙ্গে। ৫ জুলাই তিনি জানতে পারেন কিনি গর্ভবতী। জুলাইয়ের ১৮ তারিখ ভ্রূণের বয়স ২৪ সপ্তাহ হয়। এরপর তিনি দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হন যাতে তাঁকে গর্ভপাতের অধিকার দেওয়া হয়, তার দাবি নিয়ে। তিনি অবিবাহিত বলে তাঁর আবেদন খারিজ করা হয়। তারপরই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই বিচারপ ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায় ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে বঞ্চিত করা যাবে না গর্ভপাতের অধিকার থেকে। এই মর্মে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।