দেশ

আর্থিক দুর্নীতিতে গ্রেফতার করতে পারে ইডি, রায় সুপ্রিমকোর্টের

আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ইডি-এর তদন্ত, গ্রেফতার এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার বলবৎ রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’ বা পিএমএলএ-এর আওতায় আগেই এই ক্ষমতা পেয়েছিল ইডি৷ যা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা রুজু করা হয় ৷ বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷ আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন সময়ে শতাধিক মামলা হয়। সেই মামলাগুলিকে একত্রিত করে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানি চলে। মামলাকারীদের যুক্তি ছিল, এই আইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংস্থা অভিযুক্তদের গ্রেফতার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জোর করে স্বীকারোক্তি করানোর মতো অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা ভোগ করে। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে বলেছিল, যদি কোনও ব্যক্তি জ্ঞাতসারে একটি পক্ষ হয়ে যায় বা প্রকৃতপক্ষে অপরাধের আয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও কার্যকলাপে জড়িত থাকে, তবে এই জাতীয় ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে অর্থ পাচারের অপরাধে দোষী।  উল্লেখ্য, আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২ সালে আনা হয়। তা কার্যকর হয় ১ জুলাই ২০০৫ সালে। পরবর্তীকালে ২০১২ সালে ১৭ ডিসেম্বর কিছু সশোধনী আনা হয়। পরের বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি তা থেকে কার্যকর হয়।