ব্যক্তিগত রাগ আর দল এক নয়। কুণাল ঘোষ যেহেতু তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপত্র তাই তাঁকে তাঁর মন্তব্যের জন্য সেন্সর করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর ১৪ দিনের জন্য তাঁকে সেন্সর করা হয়েছে। তা মেনে নিয়েছেন কুণাল। বলেছেন, তিনি দলের অনুগত সৈনিক। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের রায়ের দিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেন অন্যান্য আসামীদের মত সেলে রাখা হয়। জেল হাসপাতালে নয়। এও বলেছিলেন, তাঁর মতই জেল যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে পার্থকে। কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘কেমন লাগে?’ তবে স্পষ্ট করেছিলেন এই বক্তব্য তাঁর নিজের। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি দাবি করেছিলেন, কিছু না করতেও ফাঁসানো হয়েছিল তাঁকে। জানা গিয়েছে, এরপরেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁকে চুপ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৪ দিন তিনি যেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও দলের অবস্থান- কোনও বিষয় নিয়েই মুখ না খোলেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, তিনি দলের অনুগত সৈনিক। দলের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিচ্ছেন। পকেট থেকে বোরোলীন বের করে বলেন, তিনি আগাগোড়া বোরোলীন মেখে চলেন। জীবনের কোনও ওঠাপড়াই তাঁর গায়ে লাগে না। দলকে তিনি ভালবাসেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি আর কোনও মন্তব্য করবেন না।
