কল্যাণী এইমসের বিরুদ্ধে একাধিক বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ পেয়ে তার তদন্তে নেমেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সন্দেহভাজনদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও। কিন্তু সিআইডি-র এই তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েই সতর্ক করল কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডি-কে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই মর্মে সিআইডি-কে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা মুখে সিআইডি।বিচারপতিরা জানালেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরনের তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি না মিললে তদন্ত করা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ আগস্ট। প্রসঙ্গত, কল্যাণী এইমসেও নিয়োগে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কল্যাণী থানা। এবার সেই মামলা তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির হাতে।জানা যাচ্ছে, প্রভাব খাটিয়ে চাকরী দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন – কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার , রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এবং বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা সহ ৮ জন। গত ২০ মে, সরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কল্যাণী এইমসে ‘নিয়োগ দুর্নীতি’ নিয়ে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লিখেছেন নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় । যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ১২০-বি এবং ৩৪ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কল্যাণী থানা। এবার সেই মামলায় তদন্ত শুরু করবে সি আই ডি।