মালদা

মানবিকতার ডাকে সাড়া, সাহায্যের হাত বাড়ালেন বিশ্বজিৎ রায় (বুলেট)

হক জাফর ইমাম, মালদা: সাহায্য করার কথা তৃণমূল পরিচালিত মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার। কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই পৌরসভার কিংবা স্থানীয় কাউন্সিলরের বলে অভিযোগ। তাই কয়েক মাস ধরে জলমগ্ন মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী পার্ক এলাকার শতাধিক পরিবার। বাড়ির উঠোন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট গান্ধী পার্কের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলমগ্ন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভায় বারবার জানিও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এমত অবস্থায় এলাকাবাসীদের সাড়া পেয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বিশ্বজিৎ রায়। তবে তিনি জেলা বাসীর কাছে বুলেট দা বলেই পরিচিত। এলাকাবাসীরা এদিন ক্যামেরার সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, তাদের এই সমস্যা বিগত কুড়ি বছরের। বর্ষা এলেই তিন থেকে চার মাসের জন্য গান্ধীপার্কের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাট এবং বাড়ির উঠোনে জল উঠে যাওয়ায় পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়তে শুরু করে। হেঁটু জল দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। সাইকেল মোটরসাইকেল অন্যের বাড়িতে রাখতে হয়। তাদের দীর্ঘ কুড়ি বছরের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কোন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ইংরেজবাজার পৌরসভা। কিন্তু ভোট আসলে ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি মিলে বলে অভিযোগ করেছেন গান্ধী পার্কের বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা আরো জানান, আলাদিনের মায়ার প্রদীপের মত তারা কাছে পেয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বিশ্বজিৎ রায়কে (বুলেট ) । তিনি ভগবানের মতো তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি উদ্যোগ নিয়ে জলমগ্ন রাস্তায় রাবিশ ফেলতে শুরু করেছেন। বুলেট দার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ এবং এই মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার আট থেকে আসি সকলেই।অন্যদিকে এই বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবী বিশ্বজিৎ রায় জানান, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রীন সিটি প্রকল্পের মাধ্যমে শহর সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে অভিযান শুরু করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন এইসব করে কি লাভ। দিদিকে বল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কুড়ি বছরের সমস্যা কে জানাবে দিদিকে। কয়েক মাস ধরে তারা জলমগ্ন। পোকামাকড়ের উপদ্রব সঙ্গে মশার আঁতুড়ঘরেই বসবাস করছে শতাধিক পরিবার। অথচ এই বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই পৌরসভার। তাই যতটা সম্ভব তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে রাস্তায় রাবিশ ফেলা থেকে শুরু করে এলাকায় আলোবাতি লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামীতে এই এলাকার সমস্যা সমাধানে ইংরেজবাজার পৌরসভা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে, এলাকাবাসীদের নিয়ে তিনি বড়োসড়ো আন্দোলন সংগঠিত করবে বলেও জানান। তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ পর্যন্ত হবেন।