শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গতকাল, সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ সন্দীপ ও তিনকোনা দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে হাজির হয় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। গতকাল সকাল থেকেই বাংলাদেশের আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাণ্ডবের পরিমান। ঝড়ের দাপটে নৌকা ডুবি হয়ে ও গাছ পড়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। ভোলা এবং সিরাজগঞ্জে দুজন করে এবং বরগুনা ও ঢাকায় একজন করে মোট দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। সকাল থেকেই জেলা জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাসে বইছে। সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আসতে থাকে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বহু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।আজ সকালেও রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় জল জমে থাকতে দেখা গেছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা, ঝোড়ো বাতাসসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা অন্যান্য স্থান থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় টেলিযোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানুষের মাঝে দুর্ভোগ ও আতঙ্ক দেখা দেয়। অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সোমবার বিকেল থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়।