জেলা

পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পূর্ব বর্ধমানঃ আজ পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রসঙ্গক্রমে ডেঙ্গির কথা ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আপনারা পুকুর, খাল, বিলগুলিকে পরিষ্কার রাখছেন তো?” জবাবে এক আমলা বলেন, “হ্যাঁ ম্যাডাম, নিয়মিত পরিষ্কার হয়।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেশি বেশি করে গাপ্পি মাছ ছাড়ুন। ওই মাছগুলো ডেঙ্গির মশাগুলোকে খেয়ে ফেলবে।” জবাবে ওই আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, “ম্যাডাম, প্রচুর গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।” কিন্তু তিনি তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে সবটা ভাবতে হয়। একটা জেলা নিয়ে থাকলে চলে না। উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া, অশোক নগরে অনেকের ডেঙ্গি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাই ওই আমলাকে বলেন, “আপনার এখানে গাপ্পি মাছ বেশি হয়ে গেলে উত্তর চব্বিশ পরগনায় পাঠিয়ে দিন।” এর আগেও নজরুল মঞ্চে পরিবেশ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বাংলাদেশের মশা বর্ডার পেরিয়ে এ পারে চলে আসছে। ও পার বাংলায় কামড়ে এ পার বাংলায় চলে আসছে।” এছাড়া ডিজিটাল রেশন কার্ড ইস্যুতেও ধমক দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সরকারি আমলাদের। সঙ্গে যোগ করলেন কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জটিলতাও। এ দিন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আমলাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “এখানে কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে এত সমস্যা কেন।”

এক আমলা উঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ১৯৫১ সালের কোনও কিছুর লিঙ্কের কথা বলতে চান। বোঝানোর চেষ্টা করেন, নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট না দিলে এই সার্টিফিকেট দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর কথা শেষ করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৫১ সালের কথা বলে কোনও লাভ আছে। আমার কাছে যদি আমার মায়ের সার্টিফিকেট চায়, আমি দেব কী ভাবে? অদ্ভুত তো! আপনাদেরও বলছি তো, নিয়মটা সোজা করুন। মানুষের যাতে অসুবিধে না হয় দেখুন।”  রেশন কার্ড প্রসঙ্গে তিনি এও বলেন, “আপনারা কী করছেন? যার পাওয়ার কথা নয়, সে পাচ্ছে। আর যার দরকার সে পাচ্ছে না।” মমতা আরও বলেন, “রেশন ডিলাররা চাল তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় বেচে দিচ্ছে। আমার কাছে সব খবর আছে।” এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে ক্যাম্প করে রেশন কার্ড বিতরণের নির্দেশ দেন। বলেন, “আপনারা মানুষের কাছে প্রচার করুন। দরকার হলে একটা মিষ্টি করে ক্যাসেট করুন। ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে আমি যেন কোনও অভিযোগ না শুনি।” সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন ডেটা অপারেটর বিরুদ্ধে। বলেন, “এই ডেটা অপারেটররা নাম, ঠিকানা ইচ্ছে করে ভুল করছে। যাতে সরকারের বদনাম হয়। নিজেরা তো করে দিয়ে চলে যাবে। আর আমদের ঘাড়ে দোষ চাপবে। আমি সব ডিএম-কে বলছি, ডেটা অপারেটদের ব্যাপারটা টেক কেয়ার করুন।” দেখুন ভিডিও –

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/483366579123657/