কলকাতা

দেশে এমারজেন্সি অবস্থা চলছেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জ্যোতির্ময় দত্ত, কলকাতাঃ দেশ দখল করতে চাইছে বিজেপি৷ পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে যাচ্ছে৷ বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এ ভাবেই বিজেপি-কে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিকে কেন্দ্রীয় সরকার যে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নতুন নয়। তিনি এও বলেন,  তাঁকেও ডাকতে পারে এজেন্সি। কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি।, বরং জেলে যেতে তৈরি। সে হবে তাঁর স্বাধীনতা আন্দোলনের মতোই। এ দিন ছাত্র সমাবেশে মমতা বলেন, “আজ আমার ভাইকে ডাকছে। কাল হয়তো আমায় ডাকবে। আমি তৈরি আছি। জেলে যেতে তৈরি কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার সামনে মাথা নোয়াব না।” এ দিনই নারদ কাণ্ডে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বক্তৃতার শুরুর দিকেই মমতা সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আজকে আসার সময় এক এমপি আমায় বলল, ওরা জানতে চাইছে, তোমার পার্টি মাসে কটা করে ব্লকে মিটিং করে। কী কী কর্মসূচি নেয়। সে তখন বলেছে, আমার পার্টি কী করে, তোমায় বলব কেন? ওদের নাকি বলতে হবে! গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল।” একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেও মমতা বলেছিলেন, “শতাব্দী আমায় কানে কানে বলল, দিদি দেখো ভোট হয়ে গেছে, আমাকে ইডি ডেকেছে। ডেকেই বলছে তুমি বিজেপি-র ওমুক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করো। না করলে তোমারও সুদীপ, তাপসের মতো অবস্থা হবে।” দৃশ্যতই চিটফান্ড তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই ও ইডি। শতাব্দী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ডেরেক ও ব্রায়েনদের মতো তৃণমূল নেতাদের ডেকে জেরা করেছে এজেন্সি। ডাকা হয়েছিল অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি বিক্রি নিয়ে জেরায় ডাকা হয়েছিল শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে। দলের মুখপত্র জাগো বাংলার হিসেব নিয়ে জানতে চাওয়া হয় মহাসচিব পার্থবাবুর থেকে। যদিও পার্থবাবু বলেছিলেন, সংগঠনের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছে সিবিআই। মমতার এ দিনের কথা শুনে অনেকেই তাই প্রশ্ন তুলছেন, এজেন্সির গতিপ্রকৃতি দেখেই কি মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন তাঁকেও ডাকতে পারে সিবিআই বা ইডি? নাকি কিছুটা নিশ্চিত হয়েই আগে থেকেই সহানুভূতি পাওয়ার কৌশল? এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, চুরি ধরা পড়লেই বলা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তৃণমূল যে চিটফান্ড তথা গরিবের টাকা লুঠ করেছে বাংলার শিশুরাও জানে! তাঁর কথায়, চিদম্বরমকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেখে ঘুম চলে গেছে তৃণমূলের অনেকেরই। কিন্তু এ সব কুমির কান্নায় আর কোনও কাজ দেবে না। দেখুন ভিডিও –

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/2361191967475232/