কলকাতা

সিবিআই তদন্তে গড়িমসি অভিযোগ রাজীব কুমারের আইনজীবীর

কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ একদিনের বেশি বাড়াতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। তাই সিবিআইয়ের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজীব কুমারের আনা মামলায় বুধবার বিচারপতি মধুমতি মিত্র অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী কাল পর্যন্ত করেছে যাতে রাজীবের আইনজীবী তার সওয়াল তাড়াতাড়ি শেষ করেন।  এদিন মামলার শুনানিতে সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে গড়িমসির অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দেন মিলন বাবু। তিনি জানান, সারদাকাণ্ডে ২০১৩ সালে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার হয় সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়। সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে বাজয়াপ্ত করা হয় তিনটি স্মার্ট ফোন। এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে দুটি ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৪ সালে জেলে থাকাকালীন নিম্ন আদালতের নির্দেশে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় দেবযানীকে। শর্ত ছিল, সেগুলো কোনও ভাবেই বিকৃত করা যাবে না। তদন্তের প্রয়োজনে সেগুলো তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে। সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে যে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছিল তা বিধান নগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার মাল খানায় আজও পড়ে রয়েছে। সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, ‘এই পাঁচ বছরের বেশি সময়ে সিবিআই একাধিক আদালতে অভিযোগ করেছে, সারদা কাণ্ডের প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্তদের সঙ্গে। কিন্তু সেই প্রভাবশালীরা কারা তা জানতে কখনও চেষ্টা করেনি। ল্যাপটপ ও ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা করেনি সিবিআই। এমনকি তদন্তের স্বার্থে মালখানায় পরে থাকা সুদীপ্তর তিনটি ফোনও কাজে লাগেনি সিবিআইয়ের।’ মিলন বাবুর আরও অভিযোগ, ‘তাঁর মক্কেলকে কোন আইনে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে তাও বোধগম্য নয়। কারণ কোনও অভিযুক্ত ছাড়া কাউকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা যায় না। আর রাজীব কুমার অভিযুক্ত নয়।’