দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশজুড়ে চলছে ‘অমৃত মহোৎসব’। তারই অঙ্গ হিসেবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি করে মডেল রেশন দোকান তৈরির পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার। এই দোকানগুলিতে রেশন গ্রাহকদের জন্য একগুচ্ছ বিশেষ সুবিধা থাকবে। তার জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি করে রেশন দোকানকে চিহ্নিতকরণ ও তার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য খাদ্য দফতরকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মতো দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি করে মডেল রেশন দোকান খোলা হবে। ওই সব রেশন দোকানে উন্নত গ্রাহক পরিষেবা, উন্নত খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা, এবং স্বচ্ছতা ও নজরদারির বন্দোবস্ত থাকবে। দোকানে রাখতে হবে ফার্স্ট-এইড বক্স, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, সিসি ক্যামেরা গ্রাহকদের জন্য আচ্ছাদনযুক্ত বসার জায়গা, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং ডিসপ্লে বোর্ড। ওই সব রেশন দোকানে আবশ্যিক ভাবে রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র এবং তা ই-পস মেশিনের সঙ্গে সেটিকে যুক্ত করে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে রাখতে হবে আইরিশ স্ক্যানার, যা দিয়ে চোখের মণির ছবির মাধ্যমে গ্রাহকের আধার নম্বর যাচাই করতে হবে। এর পাশাপাশি মডেল রেশন দোকানে ডিজিটাল পেমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুবিধা যাতে গ্রাহকেরা পান সেদিকটিও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা অনলাইনে দেওয়ার জন্য কমন সার্ভিস সেন্টার ও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে মডেল রেশন দোকানে। জোর দিতে হবে মজুত খাদ্যসামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে ওই রেশন দোকান থেকে পরিষেবার ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তার জন্য দোকানভিত্তিক ভিজিল্যান্স কমিটি গঠন ও নিয়মিত সোশ্যাল অডিট করাতে হবে। দেশজুড়ে রেশন ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য ঋণ পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক বা এডিবি’র আলোচনা চলছে। সাউথ ব্লক সূত্রে খবর সেই ঋণ পাওয়া গেলেই ওই সব রেশন দোকানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কিছু টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির খাদ্যদফতরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক বৈঠকে এই মডেল রেশন দোকান চালুর বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। প্রতি জেলায় মডেল রেশন দোকান চিহ্নিতকরণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্যগুলিকেই উদ্যোগী হতে বলেছে কেন্দ্র।