দেশ

মিলেট বর্ষ উদযাপনে সংসদ ভবনে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রসংঘ নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালকে ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উদ্যোগটি চালু করার পরে, জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বছর, সংক্ষেপে I YOM হিসাবে ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে জোয়ার-বাজরা-রাগি দিয়ে তৈরি খাদ্যের চল পুনরায় ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ

নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। আর সেই খুশিতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার মঙ্গলবার সংসদ ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের জন্যে একটি বিশেষ মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিলেন। জানা গিয়েছে যে, কর্নাটক থেকে রাগির ইডলি ও দোসা তৈরির জন্য বিশেষ শেফ আনা হয়েছে। ভারতে বাজরা খাওয়ার সংস্কৃতির প্রচার করতে,

রাগি এবং জোয়ারের তৈরি রুটি সাংসদদের পরিবেশন করা হবে। অন্যান্য খাবারের পদগুলির মধ্যে রয়েছে বাজরা এবং জোয়ারের খিচুড়ি, শেষ পাতে বাজরা ক্ষীরও পরিবেশন করা হবে। এদিন বিশেষ অতিথি হিসাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাংসদদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখলেন সকল আয়োজন। জোয়ার-বাজরা-রাগি দিয়ে তৈরি খাবার খেলেন। যদিও এদিন বিরোধীদের সঙ্গে মত বিরোধের কোনও ছাপ ছিল না মধ্যাহ্নভোজের

পরিবেশে, সেখানে রীতিমতো হাসি মুখে সকলকে খোশ গল্প করতে করতে খেতে দেখা যায়। একসঙ্গে একই টেবিলে বসে খোশমেজাজে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সঙ্গে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও । রাজনৈতিক সৌজন্যের এই সাধারণ ছবিটা ঘিরেই চর্চা শুরু হয়েছে।এটাকে অবশ্য স্বাভাবিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিরোধীতা থাকলেও নেতাদের মধ্যে পারষ্পরিক সৌজন্যতা থাকবে এটাই কাম্য। দেখুন সেই ভিডিও –