দেশ

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, সীমান্তে ধীর ধীরে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে চিন: সেনাপ্রধান

দেশের উত্তর প্রান্তে প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে তবে সীমান্তে ধীর গতিতে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে চিন। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।  অরুণাচল প্রদেশ থেকে লাদাখ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কোন কোন রাজ্য লাগোয়া এলাকায় চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সংখ্যা বাড়ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলেননি তিনি। তবে পূর্ব এবং উত্তর সীমান্তে চিনা তৎপরতার ঘটনা নয়াদিল্লির নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল পাণ্ডে। জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বার্ষিক সেনা দিবস সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাপ্রধান বলেছেন, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সাতটি বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে।  সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “অনিশ্চিত হলেও, উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণেই আছে। আমরা সাতটির মধ্যে পাঁচটি সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। কারণ আমাদের প্রস্তুতি অত্যন্ত উচ্চস্তরের এবং যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট রসদ মজুদ রয়েছে।” প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস পালিত হয় ভারতে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম কম্যান্ডার-ইন-চিফ ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পার সম্মানে এই দিনটি সেনা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বর্তমান সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ভবিষ্যতের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পুরোদমে একত্রিত হতে তৈরি এবং রূপান্তর ঘটানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, গতবছর ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে। ফলে এবারের সেনা দিবস আরও বেশি মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র শাখায় শীঘ্রই মহিলাদের নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। এজন্য ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।  সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মার্শাল আর্টস অনুশীলন করা হয়, যা অস্ত্রবিহীন সম্মুখ সমরের ক্ষেত্রে কাজে আসছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। তিনি এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন, ভারতে বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্টস প্রচলন রয়েছে।