মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন তার আগে আজ উত্তর-পূর্বের সেই রাজ্যে ইশতেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। এদিন দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “তৃণমূল যে অঙ্গীকার করে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সেই অঙ্গীকার রাখার চেষ্টা করে”। এর আগেই মেঘালয় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন তৃণমূল ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প চালু হবে সেই রাজ্যে। এছাড়াও শিক্ষাশাস্ত্রে উন্নতি সহ মহিলাদের ক্ষমতায়নে কাজ করবে তৃণমূল এমনটাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। এদিন ইশতেহার প্রকাশ করে ফের একবার সেই কথা মনে করালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বলেন, “এ টা একটা বই নয়, যেখানে ১০’টা পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর এমরা এটা করেই দেখাব।মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রত্যেক মহিলা বছরে পাবেন ১২ হাজার টাকা।” মেঘালয়ে তৃণমূলের বিরোধীরা মমতা ও অভিষেককে বহিরাগত বলে আক্রমণ করছেন। সে নিয়ে অভিষেক বলেন,”আমাদের বহিরাগত বলছে ওরা, অথচ আমরাই রাজ্যের জন্য অঙ্গীকার করছি। আপনাদের কী মনে হয়, মুকুল সাংমা বা চার্লস পিনগ্রোপ বহিরাগত! আমি বিজেপির কাছে জানতে চাই, তাদের কি সৎ সাহস আছে? তাঁদের কোনও জাতীয় নেতা এসে মেঘালয়ে বলতে পারবেন যে, দিল্লি বা গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় শাসন করা হবে না। গারো এবং খাসির মানুষই এই রাজ্য পরিচালনা করবেন! বলতে পারবে না। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সরকার চালাবে এখানকার মানুষ। এখানে উন্নয়ন হয়নি। কর্মী-সমর্থকদের অভিজ্ঞতা ভিত্তিতেই আমরা ১০ অঙ্গীকার করেছি।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, “উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত পড়ুয়াকে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। এপ্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারত ডিজিটাল হচ্ছে। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। কিন্তু, কেউ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এভাবে ভাবেনি। একমাত্র তৃণমূল ছাত্রছাত্রীদের ডিজিটালি উন্নত করতে ল্যাপটপ দেওয়া শুরু করেছে।মহিলা সহ সকলকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হবে।” এছাড়াও, অভিষেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও বলেন, “রাজ্যের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া-ই তৃণমূলের লক্ষ্য। ৫ বছরে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই লক্ষ্য।তৃণমূল সরকারে এলে প্রথম লক্ষ্য হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা। রাজ্যের GDP বাড়ানো প্রধান লক্ষ্য। বার্ষিক আয় ৪ গুণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।রাজ্যের পর্যটনে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। পর্যটন ক্ষেত্রের মাধ্যমে স্থানীয়দের স্বনির্ভর করতে সবরকম সাহায্য করা হবে। খেলাধূলা ও সংস্কৃতিতে জোর দিতে চায় তৃণমূল। তাই জেলায়-জেলায় স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে।”