দেশ

বাইরের লোকজন এসে শাসন করবে, কখনও এনআরসি -সিএএ চাপিয়ে দেবে, কখনও গুলি চালিয়ে দেবে এটা সহ্য করবেন নাঃ মমতা

মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজাবালায় এসে কেন্দ্রকে নিশান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, মেঘালয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ অবস্থা, রাস্তাঘাট নেই, পাঁচ বছর ধরে এখানে সরকার করছেটা কী? কারও শরীর খারাপ হলে কলকাতা কিংবা গুয়াহাটি যেতে হয়। আমরা তো আপনাদের সাহায্য করবই কিন্তু কেন মেঘালয়ে মেডিক্যাল কলেজে হবে না, রাস্তাঘাট হবে না, লক্ষ্মীর ভান্ডার হবে না? কথায় কথায় গুলি, কেন্দ্র থেকে কটা দল আসে? বাংলায় কথায় কথায় সেন্ট্রাল টিম পাঠিয়ে দেয়। এখানে সীমান্ত গুলি চলে। ওরা তো একবারও দেখতে আসে না।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেঘালয়ের মানুষের জন্য মেঘালয়। বাইরের লোকজন এসে শাসন করবে, আপনাদের উপরে কখনও এনআরসি চাপিয়ে দেবে, কখনও সিএএ চাপিয়ে দেবে, কখনও গুলি চালিয়ে দেবে এটা সহ্য় করবেন না। বাংলায় আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকি। কিন্তু রোজ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে ইডি-সিবিআই। বিজেপি মনে করে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত ও ওরাই একমাত্র সাধু। ওরা এটাই মনে করে। মেঘালয়কে চালাবে না গুয়াহাটি কিংবা দিল্লি। আমরাও আপনাদের চালাব না। আমরা আপনাদের হেল্প করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার রয়েছে। মা-বোনেরা মাসে ৫০০-১০০০ টাকা পায়। তাদের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে মাসে ১০০০ টাকা পাবে। আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিই, ফ্রিতে শিক্ষা, সংখ্যালঘু-তপসিলি পড়ুয়াদের স্কলারশিপ দিই। অন্য কোনও রাজ্যে এসব আছে? পাবেন না। আমরা চাই উত্তরপূর্ব ভারতের সব জায়গায় আমরা যাব। সমস্যায় পড়লেই জানবেন বাংলা আপানাদের পাশে রয়েছে। আমি দেখে নেব। আমাদের রাজ্যে যেসব সামাজিক প্রকল্প রয়েছে তা এখানে কীভাবে চালু করা যায় তার জন্য আমরা সাহায্য করব। সবসময় মনে রাখবেন একটা বন্ধু রাখতে হয়। দিল্লির বিজেপি আপনাদের বন্ধু হবে না। দিল্লির কংগ্রেসও বন্ধু হবে না। তৃণমূলই তা পারবে। সব দল একবার। তৃণমূল বারবার।