শুক্রবারই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা ৷ এদিন দুপুরের এই ঘোষণার পরেই মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশের গণতন্ত্রের নতুন অবনমন হয়েছে বলে টুইট করেছেন তিনি ৷ এদিন রাহুল গান্ধির নাম নাকরে মমতা টুইটে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রধান টার্গেট। যেখানে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিরোধী নেতাদের স্রেফ ভাষণ দেওয়ার জন্য সাংসদ পদ বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন অবক্ষয়ের সাক্ষী থাকলাম। টুইটে কোথাও কংগ্রেস সাংসদের নাম নানিলেও পদ খারিজ প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে মমতা রাহুলের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এদিন রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর যেভাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানিয়েছেন তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ৷ অভিষেক তাঁর টুইটে লিখেছেন গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি ৷ সূত্রের খবর এদিন দুপুরে যখন রাহুলের পদ খারিজের খবর আসে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জানা গিয়েছে এই খবর শোনার পর মমতা ও অভিষেক দু জনেই কিছুক্ষণের জন্য বৈঠক ছেড়ে উঠে যান ৷ তারপরেই পর পর ৫ মিনিটের ব্যবধানে টুইট করেন অভিষেক ও মমতা বর্তমানে বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতিতে চলছে তৃণমূল৷ সম্প্রতি দলীয় বৈঠকেও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা ৷ বিরোধী পরিসরে কংগ্রেসের দাদাগিরি যে মানা হবে না সে বার্তাও একাধিকবার দিয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷ সংসদে আদানি ইস্যুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের থেকে আলাদা ভাবে বিক্ষোভও দেখিয়েছে তৃণমূল ৷ এই প্রেক্ষিতে এদিন যেভাবে রাহুলের পদ খারিজের পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে বিরোধী জোট ফের দানা বাঁধতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷ আরও পড়ুন সাজা পাওয়ার পরদিনই সাংসদ পদ খারিজ রাহুল গান্ধির এদিন মমতা ও অভিষেকের টুইট রিটুইট করেছে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেকওব্রায়েন ৷ এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন রাহুলের সঙ্গে এদিন যা হল তাতে প্রমাণিত বিজেপি বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ৷ এদিন যেটা হল ১৯৫০ সালের পর তা নজিরবিহীন ৷ দেশের গণতন্ত্রকে টেনে একদম নীচে নামিয়ে আনল বিজেপি ৷ দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনার নজির নেই ৷ নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ বিজেপি আর কত নীচে নমবে ৷ “