রাহুল গান্ধির আর্জি খারিজ করে দিল গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালত। মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের নিম্ন আদালত। দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল। গত ১৩ এপ্রিল সেশন কোর্ট উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। ২০ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই শুনানির রায় দেয় আদালত। এদিন যদি রাহুলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় আদালত স্থগিতাদেশ দিত তাহলে সাংসদপদ ফিরে পেতেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু তা না হওয়ায় আরও জটিলতা বাড়ল। তবে ইতিমধ্যে কংগ্রেসের তরফে সমস্ত আইনি পথে হাঁটা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বৃহস্পতিবার টুইট বার্তায় বলেন, আইনের অধীনে এখনও যে সম্ভাব্য পথগুলি খোলা রয়েছে, দল সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এগিয়ে যাবে। রাহুল গান্ধির আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির প্রয়োজন নেই, পাশাপাশি বিচারটি সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলের নেতা পূর্ণেশ মোদি অভিযোগ করেছিলেন যে রাহুল গান্ধি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে নির্বাচনী প্রচারে মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “সমস্ত চোরদের পদবিই মোদী হয় কেন? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সুরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী মানহানির মামলা দায়ের করেন। গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ২ বছর কারাদণ্ডের সাজা দেন।