জেলা

উত্তরবঙ্গে বনধের নামে তাণ্ডব, জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা, একাধিক সরকারি বাস ভাঙচুর করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

উত্তরবঙ্গে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। তাই উত্তরবঙ্গ জুড়ে ৪০০ সরকারি বাস নামানো হয়েছে। সকালে কোচবিহারে পথ অবরোধ করে যানচলাচল বন্ধ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি বাস। শুক্রবার সেই বনধ  পালন করতে সকাল থেকে কার্যত তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গায়ের জোরে বনধ পালন করাতে সরকারি বাসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারগামী বারোবিশা রুটের একটি সরকারি বাসে ঢিল ছুঁড়ে কাচ ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বনধের বিরোধিতা করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুললেও তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে সেসব জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বনধকে ঘিরে অশান্তি রুখতে তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে বহু পুলিশকর্মীকে। কোচবিহার শহরে এদিন দেখা গেল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে

কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে জোর করে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাতে বাধা দিলে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে বিজেপি কর্মীদের ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘুঘুমারিতে বাঁশ লাঠি নিয়ে বনধ সমর্থকদের তাড়া করে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে কোচবিহারের তুভানগঞ্জেও সড়ক অবরোধ করে বাসচলাচলে বাধা দেয় বিজপি কর্মী সমর্থকরাষ মালদহেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। রায়গঞ্জেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেখানেও সকালে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে পিকেটিং শুরু করে। তুভালগঞ্জেও পথ অবরোধ করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।