স্বস্তি মিলল না রাহুল গান্ধির। গুজরাত হাইকোর্টে শনিবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানি মামলার ফয়সালা হল না। নিম্ন আদালতের রায়ে কেন স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে রাহুলকে হলফনামা দিতে বলল গুজরাত হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মে। শনিবার দীর্ঘ শুনানি শেষে আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছাক। ওই দিনের মধ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদিকে হলফনামা জমা দিয়ে তাঁর আপত্তি জানাতে বলেছেন। এদিন শুনানিতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য নিয়ে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, ‘আবেদনকারী (রাহুল গান্ধি) একজন জনপ্রতিনিধি। ফলে মন্তব্য করার সময়ে তাঁর সতর্ক থাকা উচিত। সীমারেখা লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’ গুজরাত হাইকোর্টে এদিন রাহুল গান্ধির হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি। সুরাতের নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি একাধিক অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন। শাস্তির ওপরে স্থগিতাদেশ জারির অনুরোধ জানিয়ে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘আমার মক্কেল কোনও খুন করেননি। কোনও গুরুতর অপরাধ করেননি। তাই আট বছর নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারার শাস্তি অনেকটাই লঘু পাপে গুরু দণ্ড। রাজনীতিতে এক সপ্তাহ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আট বছরের জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি, কঠোর সাজা ছাড়া কিছু নয়।’