বিবিধ

জাল ওষুধ তৈরির অভিযোগে ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল

জাল ওষুধ তৈরির অভিযোগে ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা। এবার সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারল না মেটফরমিন, মিমেপিরাইড অ্যামোক্সিসিলিন সহ ৪৮টি ওষুধ। সেই তালিকায় আছে মৃগী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত গাবাপেনটিন ও এইচআইভির চিকিৎসার ওষুধ রিটনোভির। এছাড়াও ওষুধের উপাদানে গোলমাল থাকার প্রমাণ মেলায় রোগীর ব্যবহারের অনুপযুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছু হার্টের অসুখের ওষুধ থেকে মাল্টিভিটামিন, প্রোবায়োটিক, ক্যালশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড নিয়াসিনামাইড ইনজেকশনও। সম্প্রতি ১,৪৯৭টি ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করেছিল সিডিএসসিও। তার মধ্যে ১,৪৪৯টি ওষুধ গুণমান স্ট্যান্ডার্ড বলে জানানো হয়। তবে কালো তালিকাভূক্ত করা হয় ৪৮টি ওষুধকে। ইতিমধ্যেই ওই ওষুধের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রয়েছে বহুল ব্যবহৃত লাইসোপিন মিনেরাল সিরাপ ও ওষুধের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম-যন্ত্র, প্রসাধনীকেও যথোপযুক্ত মানের নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এমন বাজারচলতি জরুরি ওষুধের মান যখন খারাপ বলে সতর্ক করেছে সিভিএসসিও, তখন এই ওষুধগুলি যে রোগীর খান, তাঁদের নিরাময় ও সুস্থতা নিয়েও সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।যে ওষুধগুলোর গুণমান ঠিক নেই সেগুলিই নাকি সবচেয়ে বেশি কেনেন গ্রাহকরা। প্রায় প্রতিদিনের রুটিনে থাকে সেইসব ওষুধ। এর মধ্যে রয়েছে নানা রকম অ্যান্টিবায়োটিক, মাল্টিভিটামিন, প্রোবায়োটিক্স, কার্ডিয়াক সমস্যার ওষুধ, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ইত্যাদি। এমন ৪৮টি ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলি শরীরের জন্য ঠিক নয়। মৃগীরোগে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত গাবাপেন্টিন, হাইপারটেনশনের জন্য টেলমিসার্টান, অ্যান্ডি ডায়বিটিস কম্বিনেশন গ্লিমেপিরাইড এবং মেটফর্মিনের মতো ওষুধ রয়েছে তালিকায়। শুধু তাই নয়, এইচআইভি-র রিটোনেভির ওষুধও ব্যর্থ হয়েছে পরীক্ষায়।