দেশ

‘স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী নিজের ঢাক পেটাতে ব্যস্ত’, তীব্র কটাক্ষ জয়রাম রমেশের

নিজেই নিজের ঢাক পেটাতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ রবিবার সকালে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় আক্রমণাত্মক টুইট করে এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আধিনাম সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সেঙ্গলের পুজো করছেন ৷ সেই সেঙ্গলকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে সাধুদের নিয়ে তা লোকসভায় স্থাপনও করেছেন ৷এভাবেই দেশের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়ল মোদি জমানা ৷ আর সংসদ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে অনুপস্থিত দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে স্বৈরাচারী বলে তোপ দাগেন জয়রাম রমেশ ৷ এর পাশাপাশি ২৮ মে দিনটি বেশ কিছু ঘটনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা ৷ প্রথমত ১৯৬৪ সালের ২৭ মে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রয়াত হন ৷ আজকের দিনে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল ৷ রমেশ লিখেছেন দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি লালনপালন করেছেন জওহরলাল নেহরুর ৷ দ্বিতীয়ত ১৮৮৩ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সাভারকর ৷ এ প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ লেখেন এই ব্যক্তির মতাদর্শ দেশে এমন এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছিল যার পরিণতি মহাত্মা গান্ধির হত্যা ৷ তৃতীয়ত দেশ প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেয়েছে ৷ ২০২৩ সালে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁকে আসতে দেওয়া হয়নি ৷ এতে তিনি তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্য পূরণ করতে পারেননি ৷ প্রসঙ্গত কংগ্রেস তৃণমূলসহ দেশের প্রায় ২০টি দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে ৷ তার অন্যতম প্রধান কারণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাথাকা ৷ চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বগৌরবান্বিত স্বৈরাচারী বলে উল্লেখ করে জয়রাম রমেশ লেখেন সংসদীয় প্রক্রিয়ার জন্য এটা খুবই হতাশার ৷ ২০২৩ সালে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ অথচ তাঁকে সংসদে প্রায় দেখাই যায় না ৷ সংসদীয় অধিবেশনের কাজকর্মে তাঁর অংশ চোখে পড়ে না ৷ পঞ্চম হিস্টোরিয়ান শব্দটিকে কটাক্ষ করে ডিসটোরিয়ান বলেছেন জয়রাম রমেশ ৷ যাঁরা মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেন তাঁদের সম্পর্কে এই ধরনের শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে ৷ তাঁর মতে এই ডিস্টোরিয়ানরা কদর্যতার আরও এক নজির তৈরি করেছে। পাশাপাশি একাংশের সংবাদ মাধ্যমকেও নিশানা করেছেন জয়রাম। তাঁর দাবি সংবাদ মাধ্যমের একটা অংশ এই ধরনের প্রবণতাকে বাড়তি প্রশয় দিচ্ছে। “