ফের রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি। এ বার রাজ্য সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তোপ দাগলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্য ও রাজ্যপালের এই দড়ি টানাটানিতে উভয়সংকটে উপাচার্যরা। কোন দিকে যাবেন, কার নির্দেশ মানবেন তা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তিতে রয়েছেন তাঁরা। ১১ জন অধ্যাপককে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আচার্যের নির্দেশে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে হবে ১১ জন অধ্যাপককে। তাঁদেরকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি টুইট করে নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ যাতে ওই পদে যোগ না দেন সেই অনুরোধ করেছেন। এই নিয়োগ ও নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আর্জি- এই দুইয়ের দ্বন্দ্বে পড়ে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না নবনিযুক্ত উপাচার্যরা। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। এই নিয়োগকেই ‘বেআইনি’ বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক টুইটে লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মাননীয় রাজ্যপাল আজ আবার ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই নিযুক্তি দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেকে করা হলো, যা বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিময় আছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয়ভাবে আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে। বেআইনি ভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।”