নানুরঃ বীরভূমের নানুরে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই-এর মৃতদেহ নিতে গিয়ে তুলকালাম হলো বোলপুরের সিয়ান হাসপাতাল চত্বর। সার্কেল ইন্সপেক্টর দেহ নিয়ে যেতে বললেও হাসপাতালে জানানো হয়, এসডিপিও-র অনুমতি নিয়ে তবেই দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে। এরপরেই বিজেপি কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙচুর শুরু করেন হাসপাতাল চত্বরে। রাস্তায় বসে পড়ে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা।মঙ্গলবার সকালে নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই-এর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, সোমবার রাতেই কাউকে না জানিয়ে এনআরএস হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বোলপুরে। এই বিষয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এন্টালি থানায়। অভিযোগ করা হয় এনআরএস হাসপাতালের সুপারের কাছেও। পরিবারের সঙ্গে থাকা বিজেপি রাজ্যে নেতৃত্ব দাবি করে, দেহ ফের কলকাতায় আনতে হবে। সেখানেই দেহ নেবেন তাঁরা।অন্যদিকে বোলপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর একটি লিখিত আবেদনপত্র দিয়ে স্বরূপ গড়াই-এর পরিবারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেহ বোলপুর সিয়ান হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে যেতে বলেন।জানা গিয়েছে, সন্ধেবেলা নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার ও বিজেপি নেতারা বোলপুরে পৌঁছন দেহ নিতে। সেখানে হাসপাতালের তরফে পরিবারকে বলা হয়, দেহ যখন আনা হয়েছিল, তখন মর্গে ঢোকানোর আগে এসডিপিও-র অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তাই এসডিপিও-র অনুমতি নিয়ে তবেই দেহ নিয়ে যাওয়া যাবে। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা।পুলিশ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর করা শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো ধুন্ধুমার শুরু হয় সেখানে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। ভাঙচুরের পরে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন স্বরূপবাবুর গ্রামের লোক ও বিজেপি কর্মীরা। যতক্ষণ না দেহ দেওয়া হবে, ততক্ষণ পথ অবরোধ করবেন বলে জানান তাঁরা। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, “বিজেপি কর্মীর দেহ চুরি করেছে প্রশাসন। মৃত দেহ নিয়েও রাজনীতি করছে তারা।” অন্যদিকে দিলীপবাবুর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যারা চোর, তারাই অন্যদেরকে চোর বলে। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি বিজেপি করে, তৃণমূল নয়।”