লোডশেডিং শব্দটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে । লোডশেডিং আর এ রাজ্যে ফিরবে না। মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবী করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সোমবার উন্নয়ন ভবনে হাজির হয়ে কেন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম কখনোই গোটা দেশে বেশি নয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি জানান, অসমে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দর ৮ টাকা ১৪ পয়সা ও উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দর ৭ টাকা ৫৪ পয়সা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে গোটা রাজ্যে ১১ নম্বরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে থাকা ইউনিট প্রতি দর হলো ৭ টাকা ১২ পয়সা। বিদ্যুৎ মন্ত্রী দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় এ রাজ্যে আসার পর ২০১১ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুতের সার্বিক উন্নয়নে ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। সাগর দীঘিতে দুটি ৫০০ও ৫০০ করে ইউনিট গড়ার পাশাপাশি সাগরদীঘিতে আরো একটি ৬৬০ মেগা ওয়াডের ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে ।রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, সোমবার মেদিনীপুরের ডেবরাতে কালবৈশাখীর ঝড়ে তিনটি টাওয়ার পড়ে গিয়েছে এবং উত্তর দিনাজপুরে দুটি ১১ কেবির টাওয়ার ঝড়ে পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের ঘাটতি কোন নেই। বিদ্যুতের যে বিভ্রাট হচ্ছে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বলে দাবি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর। একই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জল – ঝড় এবং ৪৫ অথবা ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে বিদ্যুৎ কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যুৎ পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুৎমন্ত্রীর দাবি পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই বিদ্যুৎ যথেষ্ট রয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাম আমলে বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৮০ লক্ষ। বর্তমানে গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ। এই রাজ্য গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে রেকর্ড করে গত 8 জুন একদিনে ৯ হাজার ২০০ কিলো মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে । বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, সারা ভারতবর্ষে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গকে সর্ব সেরা স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে এনটিপিসি, টাটা পাওয়ার, আদানি পাওয়ার, আম্বানি পাওয়ার সকলকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পিছনে ফেলে দিয়ে স্বীকৃতি অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ ।