জেলা

প্রবল বৃষ্টির জেরে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ, বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী

বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জলপাইগুড়ির মালবাজারে দলীয় সভা শেষ করে হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। হেলিকপ্টার বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়ে। কাঁপতে থাকে হেলিকপ্টারটি। সেই সময় হেলিকপ্টারটিকে আর বাগডোগরার দিকে নিয়ে না গিয়ে তৎক্ষণাৎ বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। বায়ুসেনার বেস ক্যাম্পে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। সেই সময় চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও চোট খুব গুরুতর নয় বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপদেই আছেন। তবে এই ঘটনার জেরে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা। কেন খবর ছিল না দুর্যোগের? নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে সেই খবর দেওয়া হয়নি? উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখ থেকে পড়তে পড়তে বেঁচেছে। দুই একটি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী আহতও হন। এরপরেও এদিনও সেই একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটল। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের কাছে কেন কোনও খবর এসে পৌঁছাল না যে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার মালবাজার থেকে বাগডোগরা যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়তে পারে? কেন তাঁদের কাছে সেই খবর দেওয়া হয়নি? সেটা কী ইচ্ছাকৃত? মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণহাণীর ষড়যন্ত্রের জন্যই কী তা করা হয়েছিল? বার বার কেন আকাশপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রার ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে? এদিন তো ভাগ্য ভাল যে হাতের কাছে সেভকের বায়ুসেনার বেস ক্যাম্প ছিল যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার জরুরি অবতরণ করে হেলিকপ্টারের পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে। কিন্তু যদি হাতের কাছে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ করার জায়গা না থাকতো তাহলে কী হতো? সব থেকে বড় প্রশ্ন পাইলটের কাছেও কেন আসেনি দুর্যোগের আগাম খবর? সবটাই কী ষড়যন্ত্র? চাই যথাযথ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। কেন বার বার মমতার ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে?