জঙ্গলে গাছ কাটতে ঢুকে বনকর্মীদের গুলিতে মৃত্যু হল বনবস্তির বাসিন্দা এক যুবকের।ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গিয়েছে মৃতের নাম জিতেন রাভা (৪৬)।তিনি গোঁসাইয়েরহাট রাভা বনবস্তির বাসিন্দা। মৃতদেহ আটকে রেখে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার ধূপগুড়ি ব্লকের ঝারআলতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুট্টিমারি এলাকার মোরাঘাট রেঞ্জের এস.এম.জি ২ কম্পারমেন্টের জঙ্গলে একদল লোক ঢুকে শাল গাছ কাটার চেষ্টা করছিল। গাছ কেটে সাইকেলে করে তা পাচার করার সময় বনকর্মীরা তাদের বাঁধা দিলে- কাঠের চোরাকারবারীরা বনকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় বনকর্মীরা আত্মরক্ষায় গুলি চালান। যদিও গ্রাম বাসীদের অভিযোগ, রাভা বস্তির বাসিন্দা মৃত জিতেন্দ্র রাভা কাঠ পাচারকারী নন। বনবস্তির বাসিন্দাদের জঙ্গলে ঢোকা এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ঔষধি, বনজ সামগ্রী ও জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করার আইনত অধিকার রয়েছে। তাই তিনি শুকনো জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। তাঁদের দাবি – বনকর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালিয়ে জিতেন্দ্রকে হত্যা করেছেন। মৃতদেহ আটকে রেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানা এবং বানারহাট থানার বিন্নাগুড়ি আউট পোস্টের পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংদেন ভুটিয়া’ও ঘটনাস্থলে আসেন। বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে – এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডি.এফ.ও বিজয় বিকাশ, রেঞ্জার রাজকুমার পাল সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্ত বনকর্মীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।