নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষাপটে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন যে তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের যে নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সুপ্রিম নির্দেশে মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ওই মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাস থেকে সরে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বিচারপতি সিনহা কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলার দায়িত্ব নিয়েই প্রথমে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে ছাত্র এবং যুব তৃণমূলের এক সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষের মতো নেতারা যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে ছিলেন, তখন তাঁদের অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই কুন্তলকে আদালতে পেশ করা হয় এবং আদালতে ঢোকার মুখে কুন্তল দাবি করেন, নিয়োগ মামলায় অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে দিয়ে। সিবিআই এবং ইডি তাঁর উপর এর জন্য ‘চাপ’ সৃষ্টি করছে বলে থানায় চিঠি ও দিয়েছিলেন কুন্তল। পরে কুন্তলের এই দাবি এবং চিঠি সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের একই ধরনের দাবি কাকতালীয় হতে পারে না। এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, দরকারে অভিষেককেও জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। এর পরেই এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদের আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ২৮ এপ্রিল এজলাস বদল হয় অভিষেক মামলার। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জানান, তদন্তের স্বার্থে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। পাশাপাশি, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক এবং কুন্তল দুজনেরই ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক।