বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়ে টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তোলে বাংলাদেশ। পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। চলতি বছরে এ নিয়ে তিনটি টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতল সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা। রবিবার টসে জিতে প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রহমানুল্লাহ গুরুবাজকে ফিরিয়ে সফরকারী দলকে ধাক্কা দেন তাসকিন আমেদ। তৃতীয় ওভারে তাসকিনের বলে ফিরে যান হযরতুল্লাহ জাজাই। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান ইব্রাহিম জাদরান ও মহম্মদ নবি। দশম ওভারে বল করতে এসে নবিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। একাদশতম ওভারে বল করতে এসে আফগান শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফিরিয়ে দেন ইব্রাহিম জাদরান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। ১১ ওভারে ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় আফগানরা। ষষ্ঠ উইকেটে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। চালিয়ে খেলতে থাকেন দুজনে। ২১ বলে ২৫ রান করে মোস্তাপিজুরের বলে ফেরেন ওমরজাই। শেষ ওভারে করিমকে ফেরান তাসকিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৭ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তোলে মহম্মদ নবিরা। জয়ের জন্য ১১৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। গড়ে প্রতি ওভারে সাত রানের বেশি করে তুলতে থাকেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চাপে পড়ে যায় আফগান বোলাররা। শেষ পর্যন্ত দশম ওভারে বল করতে এসে টাইগার শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন মুজিব উর রহমান। প্রথম বলে লিটন (৩৬ বলে ৩৫) ও এক বল বাদে আফিফকে (২০ বলে ২৪) ফেরান। পরের ওভারে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। এর পরে আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক তাওহিদ হৃদয় ও টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ। ততক্ষণে দল জয়ের গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।