আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির গলিতে ঢোকার চেষ্টা সশস্ত্র যুবকের! ‘পুলিশ’ লেখা গাড়ি নিয়ে ঢোকার চেষ্টা। পুলিশ লেখা ওই গাড়িটির নম্বর WB06U0277। গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। হাজরা রোড ও হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের কালীঘাট ক্রসিংয়ের চারমাথা মোড়ে গাড়িটিকে আটকায় পুলিশ। চারমাথা মোড়ে পুলিস কিয়স্কের সামনে দিয়েই গাড়িটি নিয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। গাড়ি নিয়ে গলির মধ্যে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতে দেখেই গাড়িটিকে আটকান কিয়স্কে অন ডিউটি পুলিসকর্মীরা। গাড়িটি আটকানোর পরই সেখান থেকে গাড়ির মধ্যে থাকা যুবককে বের করে আনে পুলিস। তারপরই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়ির ভিতর তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় একটি ভোজালি ও একটি ছুরি। একইসঙ্গে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সন্দেহভাজন ব্যাগও। এরপরই ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কালীঘাট থানায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররা। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায় যে, ধৃতের নাম শেখ নূর আমিন। তার নামেই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের আলিগঞ্জ কাঁসাইপাড়াতে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিসের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিসের সঙ্গে। অভিযুক্ত যুবকের কাছে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সির কার্ড। কার্ডের একদিকে লেখা বিএসএফ, অন্যদিকে লেখা আইবি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়াল এপ্রসঙ্গে জানান, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেক রকম এজেন্সির আইকার্ড ছিল ওই যুবকের কাছে। কোথা থেকে এই ধরনের আই-কার্ড পেয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নানারকম কথা বলছে অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তের কাছে ভোজালি ছিল। আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কী উদ্দেশ্য ছিল, কী উদ্দেশ্য নিয়ে সে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকায় ঢোকে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।